বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : মানিকগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর পরিবর্তে অন্য রোগীকে ভুল করে গর্ভপাত করার চেষ্টা করে হাসপাতাল। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে গর্ভপাত না করালেও ওই গর্ভবতী নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে ভুক্তভোগী জিয়াসমিন আক্তারের গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ওই নারীর গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে। এদিকে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টায় গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. ওসমান গনি জানালেন, তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) কিংবা মঙ্গলবারের (২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দিবেন।
তিনি জানালেন, গত বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে মাঝখানে শুক্রবার সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গর্জনা গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন আক্তারের (২২) রক্তক্ষরণ সমস্যা দেখা দিলে গত রবিবার (২৪ জানুয়ারি) জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে তিনি ভর্তি হন। চিকিৎসায় তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে তার পাশের বেডের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত সন্তান হওয়ায় তাকে গর্ভপাত ঘটনানোর কথা ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসা সহকারী (সেকমো) ফাতেমা আক্তার ভুলে জিয়াসমিনকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় রোগীর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠলে পালিয়ে যান ফাতেমা। পরে এই ব্যাপারে জিয়াসমিনের চাচা লুৎফর রহমান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ঘটনা তদন্তের তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে গত শনিবার বিকালে অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন আক্তারের গর্ভের সন্তানটি মারা যায়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকেই গর্ভবতী জিয়াসমিনের পুনরায় রক্তরক্ষণ ও তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে শনিবার বিকালে তার গর্ভের সন্তান মারা যায়। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখনও তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাইনি।’
এসএস